সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হরিপুরে গ্রামবাংলার ঝোপঝাড় হতে বিলুপ্তির পথে কুচফল ওয়াজের মাঠ কাপানো আর নারীদের খাট কাপানো হুজুর মুফতি মুহাম্মদ শফিকুজ্জামান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ৮০০ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: রিজভী নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই : প্রেস উইং মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী
চলেন সবাই মিলে রাস্তায় নামি : জাফরুল্লাহ

চলেন সবাই মিলে রাস্তায় নামি : জাফরুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: একটা সুষ্ঠু জীবন-জীবিকার জন্য আন্দোলন করা দরকার বলে মনে করেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ও প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ধানমণ্ডি  গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন ৮ সদস্য টিমের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আরো বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন ব্যাপারী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ূম, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বাশঁখালীর ঘটনায় একজন সাহসী বিচারপতির নেতৃত্বে একটি সাহসী বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা দরকার। যারা এই দেশ গড়েছেন, যে কৃষক খাবার যোগান দিয়েছেন, যে শ্রমিক উন্নয়ন দিয়েছে তারা আজ নির্যাতিত। জনগণ যখন কথা বলতে পারে তখন বোঝা যায় কেমন স্বাধীনতা আছে। ৭৪ এ দুর্ভিক্ষে ৩ লক্ষ লোক মারা গিয়েছে। মানুষ তখন না খেয়ে ছিল৷ আজ মানুষ অনাহারে নেই তবে অর্ধাহারে আছে৷

তিনি বলেন, বাঁশখালীতে ১৮ বছরের একটি ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলেছে। বিধবা মা তাকে কষ্ট করে মানুষ করেছিল। পুলিশ মেরেছে নাকি, গুন্ডা বাহিনি গুলি করে মেরেছে কেউ বলেনি। এমন কি পুলিশও কথা বলতে ভয় পায়।

দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের আর সময় নেই। রাস্তায় না নেমে, আন্দোলন না করে এই মাফিয়া রাষ্ট্রের স্থাপনটাকে শক্ত করে দিচ্ছি। চলেন সবাই মিলে রাস্তায় নামি। সাহস করে রাস্তায় নামতে হবে। দাবি পূরণ না হলে ফিরব না। পরিবর্তন চাই, পরিবর্তন হবেই। এভাবে দেশ চলবে না। কেউ বিচারের বাইরে থাকতে পারবে না। আন্দোলন করা দরকার একটা সুষ্ঠু জীবন-জীবিকার জন্য।

সরকারকে উদ্দেশ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বন্দুকের গুলি দিয়ে কোনো রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারে না। আপনিও পারবেন না। ভালো হয়ে যান। সারা পৃথিবীকে জানানো দরকার আমরা মাফিয়া রাষ্ট্রে আছি।

সংবাদ সম্মেলনে বাঁশখালীর সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ১৭ এপ্রিল বাঁশখালীর কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে সাতজন নিহত ও শতাধিক আহত। যখন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হয় তখন বলা হয়েছিল টেক্সটাইল মিল হবে। পরবর্তী সময়ে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র হয় স্থানীয় জনগণের আনদোলন উপেক্ষা করে। সেখানেও হামলা হয়। অর্থাৎ স্থানীয়ভাবে সেখানে আগে থেকেই নানান জটিলতা আছে৷

তিনি বলেন, ১৬ এপ্রিল শ্রমিকরা আন্দোলন করে। মার্চ মাসের বকেয়া বেতন, রোজার মধ্যে ৮ ঘণ্টা কর্ম ঘণ্টা, জুমার নামাযের সময়, স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেটের দাবিতে। মালিকদের দাবি সেখানে কর্মরত চায়নিজদের বাড়ি আক্রমণ করতে যাওয়ার কারণে
গুলি করেছে পুলিশ। শ্রমিকদের দাবি, পুলিশ নিজেরাই তাদের গাড়িতে আগুন দিয়েছে।

গণসংহতি আন্দোলনের এ নেতা বলেন, ওখানে শ্রমিক নিয়োগের সিন্ডিকেট আছে৷ স্থানীয় প্রভাবশালীদের টাকা দিয়ে কাজ পেতে হয়। সরাসরি কম্পানি শ্রমিক নিয়োগ না দিয়ে সাব-কন্ট্রাক্ট দেওয়া হচ্ছে। ফলে শ্রমিকরা অধিকার বঞ্চিত হয়। সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ন্যায়সংগত দাবি মেনে নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু পুলিশ ও গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে গুলি করে শ্রমিকদের হত্যা করা হয়েছে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, এটি একটি চায়নিজ কম্পানি। ২০১৬ সালে এই ফ্যাক্টরি করার সময় চারজন নিহত হয়। ২০১৭ সালেও একজন মৃত্যুবরণ করেছে।

নাগরিক সংবাদ সম্মেলনে ও প্রতিবাদসভায় ৭ দফা দাবি উপস্থাপন করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com